প্রাচীন মানুষ নিঃসঙ্গ অবস্থা থেকে যখন দলবদ্ধ হতে চেয়েছিল, তাদের মাথায় কোন প্রয়োজনটা সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল? নিরাপত্তা, নিয়ম, স্বস্তি নাকি একসঙ্গে সবকিছু? হয়তো এভাবেই ধীরে ধীরে একসময় পরিবার তৈরি করে ফেলেছিল মানুষ! এর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়েছিল সমাজও।
বার্ধক্য হলো ষাটোর্ধ্ব জীবন। সারকোপেনিয়া হলো একধরনের পেশি ক্ষয় যা সাধারণত বার্ধক্যে ঘটে। সারকোপেনিয়া সাধারণত বয়স্ক বা পরিশ্রম না করে বসে থাকা জনগণ এবং রোগীদের প্রভাবিত করে, যাদের অন্যান্য অসুস্থতা রয়েছে। এটা মানব দেহের পেশির সিস্টেমকে প্রভাবিত করে বা শারীরিক কার্যকলাপকে ব্যাহত করে।
মানুষ পুরোনোকে বিদায় দেয় আর নতুনকে বরণ করে নেয়। এটি একটি চিরাচরিত প্রথা। সময়কে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, সপ্তাহ, মাস ও বছর ধরেই পৃথিবীতে একটি সিস্টেমে চলমান আছে। বলা হয় সময়ের গাছপাথর নেই। খ্রিষ্টীয় বছর বৈশ্বিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাকে ধরেই চলছে সারা বিশ্ব। বাংলা বর্ষের পরিবর্তিত সময়গুলো নিয়ে
বাংলাদেশে সংবিধানের কী দরকার? কার জন্য দরকার? নাগরিকের জন্য, নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য? যে সংবিধানে দেশের একজন মানুষের জনগণ থেকে নাগরিক হওয়ার সুযোগ নেই, সেই সংবিধান দিয়ে আমরা কী করব? আমরা যখন জনগণ থেকে নাগরিক হতে যাই, তখন নাগরিক অধিকার সামনে আসে। সংবিধানে আমাদের নাগরিক অধিকার আদৌ আছে? উত্তর জানতে..
শরৎকাল মানেই একটা স্মৃতির আমেজ। একটা আলো, যেই আলোটাকে ফেলে এসেছি অনেক বছর পেছনে। পেছনে থেকে গেলেও সেই আলো প্রতিদিনের অন্ধকারের শরীরে ছায়া ফেলে...চলার পথটা আলোকিত হয়। যখন ছোট ছিলাম, একদিন পাড়া ছাড়িয়ে বাবার সঙ্গে রেললাইনের দিকে যাচ্ছিলাম।
একুশ শতকের আটপৌরে বাঙালি আজ সাপলুডুর বোর্ডের একদম ৯৯ নম্বর ঘরের সাপটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে সাতচল্লিশ সালের দেশভাগের সূত্রটি জোর বাতাসে দুলছে! সূত্রের শরীরে হিংসার লাল আর কালো পিঁপড়া হেঁটে বেড়াচ্ছে।
বর্তমান বাংলাদেশ মানেই যেন ভাইরাল বাংলাদেশ। ভালো বা মন্দ যেদিকেই তাকাবেন, কেবল ভাইরাল বিষয়। কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে দেখা যাক।
আমরা মানুষেরা খুব বিচিত্র। খুব ছোট কোনো কারণেই অনেক বেশি আনন্দিত হয়ে উঠি, আবার কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপের দাওয়াই তলানি পর্যন্ত পান করে বসে থাকি। নিজের আয়নায় না, অন্যের চোখের আয়নায় নিজেকে দেখাটাই বড় হয়ে যায়।
জীবনের গল্প আর সামাজিক পারিপার্শ্বিকতা আমাদের অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমরা অনেক ‘টার্ম’ জানি আজকাল। যেমন বেশ কবছর আগেও আমরা ‘সিঙ্গল মাদার’ বা ‘একা মা’ টার্মটার সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত ছিলাম না। আমাদের চারপাশে অনেক মা আছেন যারা একা সন্তানকে নিয়ে জীবনযাপন করছেন। কেউ হয়তো অনেক বেশি যুদ্ধ করছেন,
এবারের কোরবানির ঈদ বাংলাদেশের মুসলমানের জন্য অত্যন্ত মর্যাদা এনে দিয়েছে। কারণ, একটি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। একটি নয়, তিনটি গরু ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায় ধানমন্ডি এলাকার এক ব্যক্তি কিনেছেন ঢাকার
সেদিন সহকর্মীর সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল একটি কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপন নিয়ে। কোরবানির ঈদ এলেই এই বিজ্ঞাপনের কথা সবার মনে পড়ে যায়—‘এক বোতলে দুই-এক খুশি আমরা মুসলমান/ একখান হইল রমজানের ঈদ, আরেকখান কুরবান...’। তো আমাদের আলোচনা ছিল এই বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত জিঙ্গেলের লিরিক নিয়ে। ছোটকাল থেকে আমরা শুনে এসেছি এর প্রথম লাইন
একজন ব্যক্তি যখন অথই সাগরে পড়ে যায়, কোনো কূলকিনারা পায় না, তখন যদি চোখের সামনে একটি পাতা ভাসে, সেই পাতা ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। আমি তদ্রূপ সাগরে পড়ে যাওয়া কূলকিনারা হারানো পথিক। জানি না আমার এই আর্তনাদ কেউ আমলে নেবে কি না।’
জীবনে যে অর্থের খুব প্রয়োজন, সেটা তো অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে ক্ষমতার জোর না থাকলে তো সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে অর্থ ও ক্ষমতা থাকলে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা অনেক সহজ হয়।
হীরক রাজার দেশের ‘জানার কোনো শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই’ শাসকশ্রেণির মনের কথা। কিন্তু জ্ঞান অনুসন্ধান যে কত আনন্দের, তা ৮০ বছরে পা রেখে নতুন করে বুঝলাম। আমরা সবাই এত দিন দুই ধরনের বাস্তবতা বা রিয়েলিটির কথা জেনে এসেছি—অবজেক্টিভ রিয়েলিটি ও সাবজেক্টিভ রিয়েলিটি।
অধিকাংশ মানুষের মন স্বাধীনভাবে ডানা মেলতে চায় মুক্তবিহঙ্গের মতো। পাখি যেমন ডানা দিয়ে আকাশে প্রাণখুলে উড়তে পারে, তেমনি মানুষও এমন একটা পৃথিবী খোঁজে, যেখানে নিশ্চিন্তে স্বাধীনভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে।
‘গান তুমি হও বিশ্রী গরম ভুলিয়ে দেওয়া বৃষ্টি, ভাঙাচোরা জীবনটাকে হঠাৎ লাগে মিষ্টি!’ বাঙালির ভালোবাসার কথা বলতে গেলে অনেক কিছুর সঙ্গে যেই নামটা উচ্চারণ করতে হবে তা হচ্ছে, গান!
দেশ ও জাতিকে অভ্যন্তরীণ বা বহিঃশত্রু থেকে রক্ষা করা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রথম কাজ। সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসনের ব্যর্থতায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বস্তরে দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে। যে দেশে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের প্রয়োজন,